পার্কিনসন রোগ একটি দীর্ঘমেয়াদী স্নায়বিক রোগ যা প্রধানত চলাফেরার উপর প্রভাব ফেলে। এটি সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে দেখা গেলেও, বয়সই একমাত্র কারণ নয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে দৈনন্দিন কার্যকলাপ পরিচালনায় সমস্যার সম্মুখীন হন। মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাওয়াই এর মূল কারণগুলোর একটি। নিচে পারকিনসনের মূল কারণ, লক্ষণ এবং নির্ণয়ের পদ্ধতি নিয়ে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হলো।
১. পার্কিনসন রোগ কী এবং এর কারণগুলি কী?
পারকিনসন্স ডিজিজ একটি নার্ভের ক্ষয়জনিত রোগ যার কারণে রোগীরা প্রধানত গতিমন্থরতায় ভোগেন। এ কারণ হিসেবে উঠে আসে মস্তিষ্কের ভেতর ডোপামিন এবং আ্যসিটাইল কোলিন নামক দুটি নিউরো ট্রান্সমিটারের ভারসাম্যের গোলমাল।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রোগটি নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি তবে মানুষের জিনে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ট্রোক, কিছু মানসিক রোগের ওষুধ সহ আরো অন্যান্য কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাথায় বারবার আঘাত লাগা, কীটনাশকের মত কিছু বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসা এই রোগের কারণ হয়।
২. পার্কিনসন রোগের মূল লক্ষণগুলি কী কী?
এই রোগের মূল লক্ষণ গুলি হল স্থির অবস্থায় হাতের কাঁপুনি (tremor), কাজকর্ম এবং চলাফেরার গতি কমে যাওয়া(bradykinesia), মাংসপেশি অস্বাভাবিক টান(rigidity), শরীরে ভারসাম্যের অভাব(postural instability)।
এছাড়াও ঘুমের ব্যাঘাত ,অস্বাভাবিক স্বপ্নের উপদ্রব, মনের ভিতর উদ্বেগ ও মনঃকষ্টে ভোগা এবং আচরণগত পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
৩. পার্কিনসন রোগ কীভাবে নির্ণয় করা হয়?
চিকিৎসকরা সাধারণত রোগীকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে এই রোগটি নির্ণয় করে থাকেন এর সঙ্গে অনেক সময় মস্তিষ্কের সিটি স্ক্যান বা এম আর আই এর সাহায্য নেওয়া হয়।

0 Comments